সিভিল এভিয়েশনের কর্মরত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

সিভিল এভিয়েশনের কর্মরত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। সিভিল এভিয়েশনের কর্মরত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর কাওলায় ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তুলেছিল অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য।

 

সরেজমিন তদন্তে কাওলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে একাধিক ভবন ও স্থাপনায় সাইনবোর্ডে আনোয়ার হোসেনের নাম দেখা যায়। জানা যায়, একক মালিকানায় বা যৌথ বিনিয়োগে এসব সম্পত্তি মালিক হয়েছেন তিনি।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষ্যতা গড়ে কাওলার বিভিন্ন স্থানে কিনেছেন একাধিক জমি। নিজের নামে শুধু কাওলাতেই রয়েছে আনুমানিক ১৪ টি ফ্লাট।

 

অসৎ উপায়ে কাওলার বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ জমি নিজের নামে দলিল করতে সক্ষম হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে রাজউক থেকে এসব জমির উপরে বিভিন্ন ভবন নির্মানের প্লান পাস করিয়ে আসছেন তিনি। অভিযোগ আছে নিজের প্রতিষ্ঠিত ডেভলপার কোম্পানির মাধ্যমে সেসব জমিতে ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির নামে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতিনিয়তই করছেন প্রতারণা।

 

আনোয়ার হোসেন সিভিল এভিয়েশনের ট্রাফিক বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় চাকরি করে কিভাবে এত সম্পদ গড়ে তুলেছেন তা স্থানীয় লোকেদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, শুধু কাওলাতেই নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে তার একাধিক সম্পদ। যার রীতিমতো বিস্ময়কর। শুধু কাওলার সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য রয়েছে শত কোটি টাকার উপরে।

 

নিজেকে আগাগোড়া আওয়ামী লীগ দাবি করা আনোয়ার হোসেন বর্তমানে দল পাল্টানোর চেষ্টায় ব্যস্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

অভিযোগের সত্যতা জানতে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে অনেকবার চেষ্টা করে পাওয়া গেলেও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নিজের ব্যস্ততা দেখিয়ে এড়িয়ে যান। এবং পরবর্তীতে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি আর রিসিভ করেননি।

 

এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি, মেম্বার এডমিন আবু সালে মোঃ মহিউদ্দিন খান সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত কারো নামে অবৈধ সম্পদ উপার্জন বা আয় বহির্ভূত সম্পত্তের বিবরণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে দুদকের সহযোগিতা চাওয়া হবে।

স/এষ্