সিগারেটে মূল্যস্তর সংখ্যা কমানোর দাবি

সিগারেটে মূল্যস্তর সংখ্যা কমানোর দাবি

আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটে বিদ্যমান ৪টি মূল্যস্তরকে ৩টি করার দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা। নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে এই সংস্কার করা হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী ধূমপানে নিরুৎসাহিত হবে এবং একইসাথে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আত্মা’র সভায় জানানো হয়। আজ বুধবার (৭ মে) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সভাটি আয়োজন করা হয়।

সভায় নিম্ন স্তর এবং মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৯০ টাকা নির্ধারণ করা; উচ্চ স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৪০ টাকায় অপরিবর্তিত রাখা; এবং প্রিমিয়াম স্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১৯০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। একইসাথ ৬৭% সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও, ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা এবং ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপসহ সকল তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং ১ শতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়।

আত্মা’র সভায় জানানো হয়, এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ধূমপান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। একইসাথে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় নয় লাখ তরুণসহ মোট সতেরো লাখের অধিক মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে। তবে তামাক কোম্পানিগুলো অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। সরকারের উচিত হবে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রাজস্ব আয় বাড়াতে তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা।

সভায় ৪৯ জন সদস্যের উপস্থিতিতে সংগঠনের কার্যক্রম এবং করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন আত্মা’র কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞা’র হাসান শাহরিয়ার। বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দৈনিক জনকন্ঠের সিটি এডিটর কাওসার রহমান, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ এবং সদস্যসচিব এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।